করোনা প্রতিরোধক টিকা নিতে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল টিকা কেন্দ্রে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার সকাল থেকেই হাসপাতালে দুটি মূল ফটকের বাইরে থেকে টিকাদানের কক্ষ পর্যন্ত গায়ে গা লাগিয়ে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন নারী ও পুরুষ। এ সময় অসুস্থ্য বয়স্কদের বসে পড়তে দেখা গেছে বারান্দার উপরে। টিকা গ্রহীতারা অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল ফোনে এসএমএস পেয়ে তারা টিকা নিতে এসেছেন। এখানে এসে দেখেন অনেক লম্বা লাইন। অনেকেই দুর দরান্ত থেকে এসেছেন। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তিনি মনে করেন এভাবে টিকা নিতে এলে টিকার বদলে করোনা নিয়ে বাড়ীতে ফিরতে হবে তাদের। এখানে কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। এতো ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য বিধি লংঘন করে টিকা নিতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এছাড়াও রয়েছে স্বজনপ্রীতি। অনেকেই লাইনে না দাঁড়িয়েই ভিতরে গিয়ে টিকা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে আর তারা এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। টিকাদান কক্ষ সংখ্যা বৃদ্ধি করলে এবং টিকাদানকারী লোক সংখ্যা বৃদ্ধি করলে এমন কষ্ট পেতে হতো না টিকা গ্রহণকারীদের।
এ বিষয়ে নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ পরিতোষ কুমার রায় বলেন, যাদের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং আজকে তারিখ পেয়েছেন শুধুমাত্র তারাই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি আরও জানান সকালে এমন ভিড় দেখে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে যারা শুধুমাত্র আজকেই টিকা গ্রহণের এসএমএস পেয়েছেন শুধুমাত্র তারাই থাকবেন অন্যেরা দয়া করে বাসায় ফিরে যাবেন। কিন্তু কেউই এই সব কথায় কর্ণপাত করছেন না। টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে তারা সকলকেই টিকা প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগে মাইকিং করে টিকা গ্রহণকারীদের ডেকে নিয়ে এসে টিকা দেয়া হতো। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাওয়ায় দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এখন এসএমএস না পাওয়া মানুষও এসে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন টিকার জন্য। এতে স্বল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে তারাও হিমশিম খাচ্ছেন। উল্লেখ্য বর্তমানে সিনো ফার্মের প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয়ের ডোজ টিকা প্রদান করা হচ্ছে।