বিষপানে মৃত্যুর দুইদিন পরে নাটোরের নলডাঙ্গার তৃতীয় লিঙ্গের ববিতার দাফন হলো আত্রাই কেন্দ্রীয় সরকারী কবরস্থানে।তার আত্মীয় স্বজন মরদেহ নিতে রাজি না হওয়ায় এবং তার গ্রামের কবরস্থানে দাফন করতে সম্মতি না হওয়ায় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে দাফন করা হলো নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার কেন্দ্রীয় সরকারী কবরস্থানে।তৃতীয় লিঙ্গের ববিতা (৪০) নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের মৃত আকালার সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হওয়ায় পরিবারের বঞ্চনায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।এরপর সে ১৬ বছর ধরে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার রেল কলোনীতে বসবাস শুরু করে।গত ১৩ জুলাই মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় নিজ শয়ন-ঘরে সে বিষপানে আত্মহত্যা করে। বুধবার বিকেলে সংবাদ পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেন আত্রাই থানা পুলিশ। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তার দাফন নিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। রেলকলোনী সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া কবরস্থানের সভাপতি সাফ জানিয়ে দেন তাকে সেখানে দাফন করতে দেয়া হবে না। তার নিজ গ্রাম নলডাঙ্গার খাজুরার স্বজনরাও মরদেহ নিতে রাজি না।অবশেষে মৃত্যুর দুইদিন পর তার মরদেহ ময়না তদন্তের পর স্থানীয় প্রশাসনের সহয়তায় আত্রাই সরকারি কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ববিতা ১৩ জুলাই রাতে কীটনাশক (গ্যাস ট্যাবলেট) খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।তবে কি কারনে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।তার বাড়ি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামে।তার বাবা, মা, ভাই-বোন কেউ বেঁচে নেই। তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজনও মরদেহ নিতে রাজি নয়। বাধ্য হয়ে সরকারী গোরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার আত্মহত্যার ব্যাপারে আত্রাই থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।