নাটোরের গুরুদাসপুরে স্বামীকে মোটর সাইকেল কিনে না দেওয়ায় মা সেলিনা বেগমকে হত্যা করেছে মেয়ে ববি আক্তার। হত্যাকান্ডের পর লুটে নেওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কারসহ মেয়ে ববি আক্তারের কাছ থেকে উদ্ধার ও তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এরআগে গতরাতে সেলিনা বেগমের বাড়ী থেকে ববি আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, গত ৬ মাস পূর্বে ববি খাতুনের খালাতো ভাই সোহেল রানার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে ববি খাতুন তার স্বামী সোহেলকে একটি মোটর সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য মা সেলিনা খাতুনকে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সেলিনা বেগম রাজী হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও মনমালিন্য শুরু হয়। এরই জের ধরে ববি আক্তার গত ২১ মার্চ তার স্বামীর বাড়ী থেকে গুরুদাসপুর উপজেলার নাড়ীবাড়ি গ্রামে মায়ের বাড়ীতে বেড়াতে আসে। পরে গতকাল সোমবার বিকেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো ব্লেড দিয়ে তার মা সেলিনা বেগমের গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর বাড়ীর আলমারী থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লটে নেয় ববি আক্তার।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার নাটোরের গুরুদাসপুরে নিজ শয়ন কক্ষ থেকে সেলিনা বেগম নামে এক গৃহবধুর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সেলিনা বেগম একই এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী।