নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পরিচয় দিয়ে শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন প্রধান শিক্ষকের নিকট মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি করা হয়।
জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিংড়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষককে (০১৮৯০৯৮০৪৩৫) নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নিজেকে সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেন প্রতারক।
এ সময় প্রতারক শিক্ষকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মাদক মামলায় আসামী করার হুমকি দিয়ে ১৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। এতে ভীত হয়ে ৪ জন প্রধান শিক্ষক ( ০১৩১৬১১৬১৮৪) প্রতারকের বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার করে টাকা দেয়। পরে তাঁরা জানতে পারে এটা প্রতারক চক্রের কাজ।
১৫ হাজার করে টাকা দেয় চৌগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃঞ্চপদ কর্মকার, বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খসরুজ্জামান, বিলচলন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম ও জয়নগর তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খসরুজ্জামান বলেন, মোবাইল ফোনে তাকে কল দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পরিচয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং চাঁদা দাবি করে, এতে তিনি ভয় পেয়ে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।
সিংড়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বামিহাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর কাদির বলেন, শিক্ষকদেরকে প্রতারক চক্র মোবাইল ফোনে কল দিয়ে চাঁদা দাবি করে। এরমধ্যে ৪ জন শিক্ষক ৬০ হাজার টাকা দিয়েছেন। পরে তারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শকের (তদন্ত) নাম রফিকুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা নয়। এটা প্রতারক চক্রের কাজ। তিনি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। এতেই তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়াও থানার কোন পুলিশ সদস্যের পরিচয়ে ফোন করে কোন অবৈধ সুবিধা আদায় করতে চাইলে সরাসরি পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ জানাতে বলেন।