নাটোর প্রতিনিধি:
হ্যালো, আমি নাটোর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বলছি ,শফিকুল ইসলাম বলছি বা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ব্যাবহার করে হুমকি ধামকি ও বড় বড় অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে একটি অসাধু চক্র।
গত কয়েকদিন ধরেই এমন হুমকি ধামকি চাঁদা দাবীতে ভীত হয়েছে নাটোরের অনেক ব্যবসায়ী। এসকল ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশীর ভাগই বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ফোন করা হচ্ছে। এঘটনায় ইতমধ্যে দুই একজন ওই প্রতারক চক্রের দেওয়া বিকাশ মোবাইল ফোন নম্বরে টাকাও দিয়েছেন। প্রতিদিনই এমন হুমকির ফোন পেয়ে অনেকেই পুলিশের কাছে সরনাপন্ন হয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে এ ঘটনায় নাটোর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। প্রতারক চক্রের কাছ থেকে হুমকি ধামকি ও চাঁদা দাবীর বিষয়টি নিয়ে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, গত ২৮ জানুয়ারী তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনে কল করে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে জানায় তাকে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে রাখবে। এর প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, আমি পুলিশ আর তুই বিএনপি করিস। তোকে ধরে এনে মেরে ফেললেও কোন কিছুই হবেনা। এসব থেকে বাঁচতে চাইলে ১০ মিনিটের মধ্যে আমার দেওয়া এই বিকাশ বা রকেট নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দিবি।
এছাড়াও মা বোনদেন নিয়ে না ধরনের বাজে উক্তি করে সে।
বিষয়টির সতত্যা জানতে নাটোর সদর থানার পলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এমন ফোন কলের কথা তিনি জানতে পেরেছেন। এমন অনেককেই এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা ফোন করে হুমকি ও চাঁদা দাবী করেছে। তিনি এঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। বিষয়টি উর্দ্ধোত্তন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। মোবাইল ফোন নম্বরটি দিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে সে ফেন নম্বরটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। এছাড়াও তিনি বলেন এ ধরনের ফোন পেয়ে কেউ ধয্যহারা হবেন না। এমনকি কেউ কোন টাকা দেবেন না। এধরনের কোন ফোন কল আসলে আপনারা দ্রুত পুলিশের সহযোগিতা গ্রহন করবেন।