ডেস্ক নিউজ
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিলে, ২০০০ টাকা করছাড় পাওয়া যাবে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে এই বিশেষ করছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ জন্য কয়েকটি শর্ত দিয়েছে এনবিআর। কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) যখনই নেওয়া হোক না কেন, প্রথমবারের মতো রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং তা অনলাইনে দিতে হবে।
সেপ্টেম্বর মাস চলে এসেছে। কর দেওয়ার মৌসুম শুরু। যদি আপনি প্রথমবারের মতো কর দিতে যান, তবে নিশ্চয় নানা দুশ্চিন্তা ভর করছে। ইতিমধ্যে আপনার মতো নতুন করদাতারা দৌড়ঝাঁপও শুরু করে দিয়েছেন। ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র, স্থায়ী আমানতসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব নিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে অফিসে অফিসে যেতে হচ্ছে।
করোনার মধ্যে নতুন দুশ্চিন্তা—কীভাবে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেবেন? আপনার মতো নতুন করদাতার জন্য সুখবর। আপনি যদি অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেন, তাহলে মিলবে ২০০০ টাকা করছাড়। যত টাকা কর হবে, তা থেকে সোজা দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে কর পরিশোধ করবেন।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে এই বিশেষ করছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য অবশ্য কয়েকটি শর্ত দিয়েছে এনবিআর। কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) যখনই নেওয়া হোক না কেন, প্রথমবারের মতো রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং তা অনলাইনে দিতে হবে। এর মানে, আপনি যদি ১০ বছর আগেও টিআইএন নেন, তাহলেও সমস্যা নেই। আপনাকে দুইবার প্রথম হতে হবে। প্রথমবার রিটার্ন জমা দিতে হবে, প্রথমবার অনলাইনে তা জমা দিতে হবে। আপনি যদি এর আগে সনাতন পদ্ধতিতে রিটার্ন দিয়ে থাকেন, তাহলে এই সুবিধা পাবেন না।
একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে। জাবির হাসান ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। তাঁর মোট আয়ের পরিমাণ ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। জাবির হাসান এ বছরই প্রথম রিটার্ন জমা দেবেন। আর করোনার কারণে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবেন। জাবির হাসানের জন্য করের হিসাবটি হবে এমন—বিদ্যমান হার অনুযায়ী তাঁর করের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি সঞ্চয়পত্রে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তাই বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর বিনিয়োগ রেয়াতের পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা। এর অর্থ হলো বিনিয়োগ রেয়াত নেওয়ার পর জাবির হাসানের করের পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়। অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে জাবির হাসানকে ৮ হাজার টাকা কর দিলেই হবে। তবে মনে রাখতে হবে, একজন করদাতা শুধু একবারই এমন করসুবিধা পাবেন। রিটার্ন জমার সময় শেষ হবে ৩০ নভেম্বর।