ডেস্ক নিউজ
দেশের অর্থনীতির আকার পরিমাপে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দুটি পদ্ধতি রয়েছে। চলতি মূল্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি দেশের অর্থনীতির আকার ছাড়িয়েছে ৪১০ বিলিয়ন ডলার। আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) দেশের অর্থনীতির আকার প্রথমবারের মতো চলতি মাসে হাজার বিলিয়ন ডলার বা ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়েছে বলে প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
জানা গেছে, বিশ্বের যেকোনো দেশের অর্থনীতির আকার মূল্যায়নের মাপকাঠি হলো মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। দুটি পদ্ধতিতে জিডিপির আকার মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হলো চলতি মূল্যের ভিত্তিতে (বেজ অন কারেন্ট প্রাইস) এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (বেজ অন পারচেজ পাওয়ার)। এ দুই পদ্ধতিতেই বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতো বিশ্বের প্রভাবশালী সংস্থাগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) ২০১৯ সালের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ ছাড়িয়েছিল ৮০০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা আরো এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আইএমএফের তথ্য বলছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পিপিপির ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে প্রায় এক দশক সময় লাগে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অর্থনীতির আকার ছিল ৫২০ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। সংস্থাটির প্রক্ষেপণ বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ৯৬৬ দশমিক ৪৮৫ বিলয়ন ডলার, যা ২০২২ সালে ১ হাজার ৬১ দশমিক ৫৭১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১ হাজার ১৬৪ দশমিক ৮২৫ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ সালে ১ হাজার ২৭৬ দশমিক শূন্য ২২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৫ সালে ১ হাজার ৩৯৫ দশমিক ৪০৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। তবে দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করবে ২০২৬ সালে। এ সময়ে পিপিপির ভিত্তিতে অর্থনীতির আকার হবে ১ হাজার ৫২২ দশমিক ৪৭৮ বিলিয়ন ডলার।