ডেস্ক নিউজ
২০০৮ এর নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মন্ত্রীপরিষদে নিয়ে আসে নতুন চমক। এবার রেকর্ড সংখ্যক নারী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিয়ে মন্ত্রীপরিষদ গঠন করে শেখ হাসিনা সরকার।
এর পর থেকে ধীরে ধীরে দলটির নারী নেতৃত্বের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় মোট নেতৃত্বের ৭ ভাগ। অপরদিকে বিএনপির নারী নেতৃত্বে সংখ্যা কমতে কমতে ১ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। এবারের সর্বশেষ ৮১ সদস্যের আওয়ামী লীগের শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটিতেই নারীদের রাখা হয়েছে ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ কমিটির ১৫ জনই নারী রয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির চিত্র ঠিক উল্টো, ৫০২ সদস্যের বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী আছেন মাত্র ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ সব মিলিয়ে সর্বমোট ৬৪ জন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যেখানে ২০১২ সালের কমিটিতে নারী নেতৃত্বের হার ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। সদ্য গত কমিটিতে নারী প্রতিনিধির হার ছিল প্রায় ২০ শতাংশ। এবার তা বেড়ে ২৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ; অর্থাৎ ২৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র মতে, ৬৪ জেলা ও ১২টি মহানগর নিয়ে মোট ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি রয়েছে। এর বাইরে ৪৯০টি উপজেলা কমিটি, ৩২৩টি পৌরসভা ও ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন কমিটি এবং প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে।
নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গত জুনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিতে নারী সদস্যের হার ১৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে দলটি। নারীদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে ইসির কাছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছিল, দলের তিন সহযোগী সংগঠন- বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগের শতভাগ সদস্য নারী। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়নে সংগঠনগুলো কাজ করছে। ২০২০ সালের মধ্যেই সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আওয়ামী লীগ সক্ষম হবে।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটানা প্রায় ১১ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীদের অবস্থানে এসেছে মৌলিকভাবে পরিবর্তিত। ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার ফলে এভাবেই দেশে একদিন নারী-পুরুষের শতভাগ সমধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে বিশ্বাস রাজনীতি বিশ্লেষকদের।