ডেস্ক নিউজ
বর্তমানের সরকারের টানা তিন মেয়াদে হাজারো উন্নয়নের কারণে দেশ আজ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রারেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরো কত যে উন্নয়ন হচ্ছে বাংলাদেশে তা বলার বাইরে। যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যখন উন্নত দেশের লোকজন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যয়িত করেছিল তারাই এখন বাংলাদেশকে নিজেদের রোল মডেল স্বীকৃতি দিচ্ছে। উন্নয়নের হাওয়া ছোঁয়া লেগেছে সারা বাংলাদেশে। এর অংশ হিসেবে দেশের সব মহাসড়ক এখন আট লেন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আটলেনে রূপ পেয়েছে। এদিকে নতুন করে গাবতলী থেকে সাভারের নবীনগর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক আট লেন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। পরবর্তীতে এ মহাসড়কটি সম্প্রসারণ করে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত নেওয়া হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর ঈদ এলেই ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের নানা স্থানে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে গাবতলী থেকে সাভারের নবীনগর পর্যন্ত মহাসড়কের সব ধরনের যানবাহন থমকে থাকে। এ স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়। ফলে প্রতিদিন সাভার থেকে ঢাকাগামী হাজার হাজার চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কের ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শুধু ঈদ নয়, ছুটির দিনের আগে-পরেও যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়ক ৮ লেনে উন্নীত করে এক্সপ্রেসওয়ে করার পরিকল্পনা করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৮ লেনের এ সড়ক প্রকল্পটি নির্মাণ করা হবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে। ৮ লেনের মধ্যে মাঝের ৬ লেনে হবে অ্যাকসেস কন্ট্রোল (এক্সপ্রেসওয়ে)। দুই পাশে থাকবে একটি করে সার্ভিস লেন। এক্সপ্রেসওয়েতে চলার জন্য টোল দিতে হবে। আর এই টোল আদায়ের মাধ্যমে নির্মাণ ব্যয় তুলে নেবে নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। সূত্র আরও জানায়, ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যান চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য বিভিন্ন পয়েন্টে র্যাম্প থাকবে। যেগুলো দিয়ে প্রয়োজন মতো যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বের হয়ে যেতে পারবে।
গাবতলী, হেমায়েতপুর, সাভার ও নবীনগরের ইন্টারচেঞ্জগুলোয় নির্মাণ করা হবে ফ্লাইওভার। বিভিন্ন পয়েন্টে পথচারী ও যানবাহন পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হবে ছয়টি আন্ডারপাস। অন্যদিকে ধীরগতির যানবাহনসহ যেসব বাহনের এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না সেগুলো চলাচল করবে দুই পাশের সার্ভিস লেন দিয়ে।