ডেস্ক নিউজ
যথাসময়ে আমদানি পণ্যের দায় পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী এডি শাখার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার এক সার্কুলারে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
আমদানি পণ্যের অর্থ পরিশোধে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে গাফিলতি রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে। যে কারণে এ বিষয়ে আবারও ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে জারি করা এ সাকুর্লারে বলা হয়েছে, “যথাসময়ে আমদানি বিলের দায় পরিশোধের বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়, যা যথাযথভাবে পরিপালিত না হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।”
আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধে নির্ধারিত সময় ৬ মাস বা ১৮০ দিন। সময় সময় বিশেষ বিবেচনায় তা বাড়িয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেমন কোভিড মহামারীতে এই সময়সীমা বাড়িয়ে ২৭০ দিন করা হয়েছিল।
আর ডলার সাশ্রয় ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে গত ২১ জুলাই শিল্পের কাঁচামাল ও কৃষি উপকরণের আমদানি মূল্য পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে এক বছর করা হয়।
এ সময়সীমা ব্যাংকগুলো ঠিকমত মেনে চলছে না বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন অর্থাৎ বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম চালাতে পারে এমন নির্বাচিত শাখাগুলোকে আলাদা অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, যা অথোরাইজড ডিলার (এডি) শাখা হিসেবে পরিচিত।
বুধবারের সার্কুলারে বলা হয়, “যথাসময়ে বৈদেশিক ও স্থানীয় স্বীকৃত বিল পরিশোধ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা যথা নিয়মে পরিপালন নিশ্চিত করতে আপনাদের সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে পুনরায় নির্দেশনা প্রদান করা হল।
“যথাসময়ে স্বীকৃত দায় পরিশোধে ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট শাখার এডি লাইসেন্স বাতিলসহ দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
এর আগেও আমদানি বিল যথাসময়ে পরিশোধ করতে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।