ডেস্ক নিউজ
বিদেশ থেকে আরও সাড়ে তিন লাখ টন চাল আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। এই চাল সরকার টু সরকার (জি টু জি) পদ্ধতিতে আনা হবে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে।এছাড়া ৬৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে এই মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সচিবালয়ে বুধবার দুপুরের এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। দুটি বৈঠকেই তিনি ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতি কেজি চালের দাম কত হবে, সেটা এখনো আসেনি। এখন আমাদের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে চালের দাম সংগ্রহ করা হবে। চাল নিয়ে কোনো ঝুঁকি না নেওয়ার জন্যই আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কত দামে কেনা হবে, সেটা পরে ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে আবার আসবে।
তবে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের সিভিল সাপ্লাইস করপোরেশন লিমিটেড (পিইউএনএসইউপি) থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল, সাকননাখোন ন্যাশনাল ফার্মস কাউন্সিল থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আমদানির নীতিগত আনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভিয়েতনামের সাউদার্ন ফুড করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল (সাদা) আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি ইউনিটের দাম ৮ দশমিক ৩৪ মার্কিন ডলার হিসাবে ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ সর্বমোট ব্যয় হবে প্রায় ২৭৯ কোটি টাকা। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এওটি ট্রেডিং এজি প্রতিষ্ঠান এই এলএনজি সরবরাহ করবে।
তিনি বলেন, ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম ৭ দশমিক ৪৪ ডলার হিসাবে ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ সর্বমোট ব্যয় হবে প্রায় ২৪৯ কোটি টাকা। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভাইটল এশিয়া পিটিই এটি সরবরাহ করবে।