ডেস্ক নিউজ
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন করে আরও ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ৮ হাজার নার্স নিয়োগের প্রস্তাবনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে ১২ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে ৪ হাজার চিকিত্সক কোন বিসিএস থেকে নেওয়া হবে—সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চলমান ৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা
পিএসসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্ত্রণালয় থেকে এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাবনা আসেনি। চিকিৎসক নিয়োগের চাহিদাপত্র পেলে কমিশন সভা করে সিদ্ধান্ত নেবে পিএসসি। তবে নতুন করে চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বিসিএস গ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই। চলমান বিশেষ ৪২তম বিসিএস অথবা ৩৯তম বিসিএস থেকে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া সহজ হবে।
গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের ডাক্তার-নার্সরা গত দেড় বছর ধরে দিনরাত কাজ করছেন। অনেকেই মৃত্যুবরণ করছেন। তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় করোনাকালে আরও নতুন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করা হবে।
সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী আরও ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য পিএসসিকে চাহিদাপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও পাঠানো হবে। ঐ সভায় চিকিৎসকদের মতো ৮ হাজার নার্স নিয়োগের জন্যও পিএসসি ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালগুলোতে পদ থাকা সত্ত্বেও প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পদে কোনো চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়নি। এর আগে ২০১৯ সালে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে প্রথম ধাপে সাড়ে ৪ হাজার এবং ২০২০ সালে মে মাসে আরও অতিরিক্ত দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।
এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবং চলমান কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া ৩৯তম বিসিএসে অপেক্ষমাণদের নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণি পদে নিয়োগের সুপারিশ সম্পন্ন করেছে পিএসসি।
এদিকে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশিত হলে সাড়ে ৩১ হাজার আবেদন পত্র জমা পড়ে। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রিলিতে ৬ হাজার ২২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। গত ৬ জুন মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গত ২৪ জুন পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরীক্ষার্থীরা বলছেন, বর্তমানে ৪২তম বিসিএস চলমান এবং অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থীর ভাইভা হয়ে গেছে, এই অবস্থায় ৪২তম বিসিএস থেকেই দ্রুততম সময়ে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হোক।