ডেস্ক নিউজ
তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ই-সেবী এন্টারপ্রাইজেস ও স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে চালু করেছে গবেষণা উদ্যোক্তা ফেলেশীপ। এ ফেলোশিপের আওতায় প্রথম ধাপে বাংলাদেশের ৬টি বিভাগ থেকে ৬ জন নারী উদ্যোক্তাকে বৃত্তি দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ধাপে বাংলাদেশের আরো ৪জন নারী উদ্যোক্তাকে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে মোট ১০ জন নারী উদ্যোক্তা পেলো এ ফেলোশী্পের সুযোগ। ফেলোশিপ প্রাপ্ত নতুন ৪ জন নারী উদ্যোক্তা হলেন- জুলিয়া মার্ডি (রাজশাহী), আফরিন আক্তার মীম (পাবনা), আদ্রিতা তানহা তাকিয়া (কুড়িগ্রাম) এবং সৈয়দা ফরিদা আক্তার (হবিগঞ্জ)।
গ্রামীণ বাংলাদেশের স্থানীয় গবেষণা সহায়ক (আরএ) এর একটি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা এবং পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে গবেষণা সহায়কদের সক্ষমতা বাড়ানো এ ফেলোশিপের মূল লক্ষ্য। ই-সেবীতে অতীত অবদান, গবেষণার প্রতি আগ্রহ ও মন মানসিকতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ভৌগোলিক অবস্থান, লেখালেখি ও যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি বিবেচনায় ই-সেবী কর্তৃপক্ষ এ ১০ জন নারী উদ্যোক্তাকে নির্বাচন করেছে।
স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের ই-সেবী এন্টারপ্রাইজেস ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে গবেষণা সহকারীদের গবেষণা দক্ষতার ভিত্তি মজবুত করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে তারা গবেষণা সহযোগী সংস্থার প্রকল্পসমূহে অংশ নিতে পারে।
এ ফেলোশীপের মাধ্যমে নির্বাচিত নারী উদ্যোক্তাগণ ৬ মাস মেয়াদে ই-সেবী পরিচালিত ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ এবং মাঠ পর্যায়ে গবেষণার বাস্তব কাজ করে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন। তারা বাংলাদেশের গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাগণের জীবন-জীবিকার উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব বিষয়ে গবেষণা করবেন। এছাড়াও সফলভাবে প্রকল্প সমাপ্তির পর পাবেন সম্মানী, ক্রেস্ট ও সনদ।