কামারের দোকানে কখনো কোরআন পড়তে হয় না। ওখানে শুধু লোহালক্কর, দা, ছুরিই বানানো হয়। আপনাদের কেন মনে হয় উনারা ভাস্কর্য আর মূর্তির পার্থক্য বুঝে না? হালাল নাকি হারাম বুঝে না?
পৃথিবীর কোন কোন দেশে ভাস্কর্য আছে, ইসলামী কোন কোন নেতার ভাস্কর্য আছে তা তারা জানে না? বিভিন্ন বিখ্যাত মসজিদের সামনে পিছনে বাইরে ভাস্কর্য আছে তা তারা জানে না? তারা এর সব জানে। জেনে বুঝেই তারা এইসব করছে। সুতরাং ঐসব তাদের বলে লাভ নেই। শুধু সময় নষ্ট করবেন।
এই দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো ইস্যু অনেক দিন তারা পাচ্ছে না। তাই নতুন ইস্যু নিয়ে আসছে। যেমন, শাপলা চত্বরে নাস্তিক ইস্যু নিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। দিনে বড় বড় কথা বলে বাচ্চা হুজুরদের একা রাস্তায় ফেলে রাতের আঁধারে তারা পালিয়ে গিয়েছিল।
হেফাজতের নেতারা বলেন, তারা কোনো ইসলামী দেশকে অনুসরণ করেন না। ঐসব দেশের কোনো নিয়ম-কানুন তারা মানে না। ভারতের, আবারও বলছি ভারতের দেওবন্দের আলেমদের দেয়া ফতোয়া তারা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে চায়। তাদের কওমী মাদ্রাসাগুলোতেও ভারতের দেওবন্দের সিলেবাস অনুসরণ করে।
আসেন সেই দেওবন্দের আলেমদের সাম্প্রতিক কিছু ফতোয়া দেখি..
১. হে মুমিন বান্দাগণ ছবি, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া হারাম। বিশেষ প্রয়োজন হলে পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড জাতীয় কাজে শুধু ছবি ব্যবহার করা যাবে।
২. হে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ফেসবুক, ইউটিউবে ছবি শেয়ার করিও না।
৩. সিসিটিভি ব্যবহার করলে সে আর মুসলমান থাকবে না। (মক্কা মদিনাতে সিসি ক্যামেরা আছে)।
৪. হে খেলাফত মজলিস ছবি, ভিডিও ইহুদি নাছারা ও পৌত্তলিকতার সংস্কৃতি, ঈমান থাকবে না।
৫. ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলে কাফের হয়ে যাবে।
এর সবগুলোর তথ্য প্রমাণ আছে। যারা ভাস্কর্য নিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছে তাদের জিজ্ঞেস করেন, তারা ইউটিউব ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া কেন ব্যবহার করে। তাদের সামনে পাইলে জিজ্ঞেস করেন। এই দেশে শিশু বলাৎকার কবে বন্ধ হবে। জঙ্গিবাদ কবে বন্ধ হবে। ধর্ম নিয়ে ব্যবসা কবে বন্ধ হবে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি কবে বন্ধ হবে। রাজনীতিকে আরবিতে বলে سياسة (সিয়াসত)। কোরআনের কোথাও এই শব্দটি আছে কিনা তাদের জিজ্ঞেস করেন।
এতো ব্যাখ্যা না দিয়ে আসেন আমরা তাদের ঈমানের পরীক্ষা নেই। আমরা যারা ইসলামের মূলস্তম্ভ ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত অনুসরণ করে চলি। যারা সত্যিকারের খাঁটি ধর্মটাই পালন করি কোনো অপব্যাখ্যাকারীদের ফাঁদে পা দেয় না।