ডেস্ক নিউজ
উচ্চশিক্ষা খাতে ও করোনা মহামারি মোকাবিলায় সামর্থ্য বাড়াতে বাংলাদেশের জন্য ১৯১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
শুক্রবার (২৫ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, গতকাল (বুধবার) বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদ এই ঋণ অনুমোদন করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সিলারেশন ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট’ নামে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শিক্ষা খাতে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম আঞ্চলিক প্রকল্পটি উচ্চশিক্ষায় আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’
প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলের সমজাতীয় কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অন্য দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের সুযোগ, ক্রেডিট ট্রান্সফার স্কিম বা এক দেশ থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অংশীদারিত্বের ব্যবস্থা হবে। এছাড়া আরও বেশি নারীর মানসম্মত উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়তা করবে।
এতে আরও বলা হয়, করোনা মহামারি দক্ষিণ এশিয়ার উচ্চশিক্ষা খাতকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে এবং অনেকে ভর্তি হতে পারছে না। কোভিড-১৯ এর কারণে বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর বৈরী প্রভাব পড়েছে এবং এর ফলে উচ্চশিক্ষা খাতে লিঙ্গ বৈষম্য বাড়ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘সামগ্রিক ভবিষ্যতের জন্য উচ্চশিক্ষা অপরিহার্য। এর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি দক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতায় সক্ষম শ্রমশক্তি তৈরিতে যুব জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অর্থায়ন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার মান ও প্রাসঙ্গিকতা বাড়াতে ও বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে মহামারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখা নিশ্চিত করবে।’