আধুনিক হাসপাতাল থাকার পরও উদ্বোধন জটিলতায় করোনার এই কঠিন সময়ে চিকিৎসা পাচ্ছেন না নাটোরের নলডাঙ্গার তিন লাখ মানুষ।২৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা খরচ করে হাসপাতালটি বানিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার।কিন্তু কর্তৃপক্ষের ঠেলাঠেলিতে দেড় মাসেও উদ্বোধন হয়নি।তাই করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর থেকে উপজেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে নাটোর সদর ও রাজশাহীতে।চলতি বছরের ২৫ মে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা ৫০ শয্যার হাসপাতালটি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এরপর হাসপাতালটির দায়িত্ব দেওয়া হয় নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে। দুই মাসেও উদ্বোধন না হওয়ায় উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এলাকাবাসী আমিনুল ইসলাম হাদু জানান, হাসপাতালে আধুনিক সরঞ্জাম থাকার পরেও, চালু না হওয়ায় সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে রাজশাহী কিংবা নাটোর সদর হাসপাতালে। এতে করে ভোগান্তি ও খরচ দুটোই বাড়ছে বলেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাদের। আর বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত সবাইকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা ছাড়তে হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে বার বার বলে প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
নাটোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুর রহমান জানান,হাসপাতালটি চালু করতে ইতি মধ্যে কিছু ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হলেও উদ্বোধন না হওয়া চালু হচ্ছে না চিকিৎসা সেবা।
নাটোর সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলছেন, প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে জনবল নিয়োগ দিয়ে দ্রুত হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করা হবে ।
২০১৮ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর ২৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৩ হাজার ২২১ টাকা ব্যায়ে শুরু হয় হাসপাতালের নির্মাণ কাজ।আর শেষ হয় চলতি বছরের মে মাসে।চলতি বছরের ২৫ মে মাসে ৫০ শয্যা হাসপাতালটি কৃতপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেই দুই মাসেও হাসপাতালটিতে এখনও শুরু করা যায়নি স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা কার্যক্রম।