ডেস্ক নিউজ
অনেক দরিদ্র মানুষের নিজস্ব মোবাইল ফোন না থাকায় চেয়ারম্যান বা অন্য কারো নম্বর ব্যবহার করায় তালিকায় একই নম্বর একাধিকবার এসেছে। এটা ভুলও নয় আবার ইচ্ছাকৃতও নয় বলে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল।
সচিব বলেন, তথ্যত্রুটির মাধ্যমে কোনো টাকা ডিসবার্স করা হবে না। এখানে অনিয়মেরও কোনো সুযোগ নেই। এটা হয়েছে ইনফরমেশন গ্যাপের জন্য। একটি নম্বরে একবারের বেশি টাকাও যাবে না। তাই আর্থিক সহায়তার তালিকা সংশোধনের কাজ করা হচ্ছে।
একই মোবাইল নম্বর একাধিকবার থাকায় বিষয়টি গতকাল স্বীকার করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, তালিকা সংশোধন করা হচ্ছে। সরকারি অর্থ সহায়তার তালিকার প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ নম্বর ভুল। অনেকেরই নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর না থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্তদের এ তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষক এবং সমাজের বিশিষ্টি ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন হয়।
রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকান কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষদের নিয়ে তালিকা তৈরি করে কমিটি। সিদ্ধান্ত হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ পৌঁছে দেয়া হবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
কিন্তু প্রণোদনার টাকা পাঠানোর জন্য করা নামের তালিকায় একই মোবাইল নম্বর একাধিকবার দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এমন অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।