সারাদেশে আগামী এক মাসের মধ্যে ৬৭টি অফিসের মাধ্যমে একযোগে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশের ৫২টি অফিসের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। শিগগিরই বিদেশের মিশনগুলোতেও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র।
গতকাল বুধবার রাজধানীর উত্তরায় পাসপোর্ট পার্সোনালাইজেশন সেন্টারে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্প কর্তৃক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশের ৯টি আঞ্চলিক অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী। তিনি বলেন, ই-পাসপোর্টের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেদের প্রশিক্ষিত করার পাশাপাশি পাসপোর্ট সেবা সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আবেদনকারীদেরও প্রশিক্ষিত করার বিকল্প নেই। এ সময় তিনি জনসাধারণকে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে উদ্বুদ্ধ করেন। সেই সঙ্গে আবেদনকারীদের কাছে পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়া সহজবোধ্য করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ টিএম আবু আসাদ উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সব বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের প্রধানসহ
উদ্বোধন হওয়া অফিসের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসকদের প্রতিনিধিরা।
প্রধানমন্ত্রী গত জানুয়ারিতে ই-পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট পার্সোনালাইজেশন কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর থেকে অনলাইনে ই-পাসপোর্টের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে জিটুজি পদ্ধতিতে জার্মানভিত্তিক কোম্পানি ভেরিডোজের সঙ্গে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।