ডেস্ক নিউজ
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে সরব অবস্থান নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডিকে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রয়াত এই মার্কিন সেনেটরের ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়র এবং তার পরিবারের তিন সদস্য রোববার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গণভবনে গেলে প্রধানমন্ত্রী তাদের এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এডওয়ার্ড কেনেডির অসামান্য অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনার বলেন, টেড কেনেডি জুনিয়র, তার ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেনেডি সিনিয়রের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সাত দিনের সফরে শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন কানেটিকাট স্টেট সেনেটের সাবেক সদস্য টেড কেনেডি জুনিয়র। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই সফরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন এবং কলা ভবনের সামনে ‘এডওয়ার্ড কেনেডি বটগাছ’ পরিদর্শন করবেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এডওয়ার্ড এম কেনেডি ১৯৭১ সালে ভারতে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর মার্কিন সেনেটে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে তিনি সাহসী অবস্থান নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে জনমত গড়ে তুলতে কেনেডি সিনিয়রের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন সরকারপ্রধান।
টেড কেনেডি জুনিয়র বৈঠকে বলেন, তার পরিবার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজ করে এমন সংগঠনগুলোর সঙ্গে তিনি দেখা করবেন এবং রাজশাহী ও বগুড়া সফর করবেন।
শিশুকালে ক্যান্সারজয়ী ও পা হারানো টেড জুনিয়র পেশায় আইনজীবী। বাংলাদেশ সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ক্যাথরিন ‘কিকি’ কেনেডি, মেয়ে কিলি কেনেডি, ছেলে টেডি কেনেডি, ভাতিজি গ্রেস কেনেডি অ্যালেন ও ভাতিজা ম্যাপ অ্যালেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন।