দেশজুড়ে চলমান ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনের মাঝেও সদ্য কুয়েট পাস এক শিক্ষার্থী অপকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেনি। সেই শিক্ষার্থী তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেছে; সেটাও আবার চলন্ত্র ট্রেনে! হয়রানির শিকার মেয়েটি প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত এবার পার পায়নি। চলন্ত ট্রেনেই ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ৩ মাসের জেল দিয়েছে।
পুরো ঘটনাটি সোশ্যাল সাইটে জানিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চল ও ডিভিশনাল ভুসম্পত্তি অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
তিনি লিখেছেন, ‘এই বেপরোয়া আচরণ ভাবা যায়? প্রকাশ্য দিবালোকে ট্রেনের সীটে বসেই কুয়েটের সদ্য পাশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রীকে ২৫ মিনিট ধরে হয়রানি-হেনস্থা করে যাচ্ছে! আমি নিজেই সুন্দরবন ট্রেনে ছিলাম। এই বেপরোয়া আচরণের জন্য মোবাইল কোর্টে দ.বি ৫০৯ ধারায় আসামী আরিফকে ৩ মাসের জেল দিয়ে পাবনা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হলো। ছাত্রীটিকে নিরাপদে খুলনা পৌঁছে দেয়ার জন্য জিআরপি-টিটি কে নির্দেশ দেই। সে তার ছাত্র জীবন রক্ষার আবেদন কিংবা পায়ে পড়লেও মেয়েটার কঠোর মনোভাব আর অস্রুসিক্ত আকুতি বিবেচনায় নিয়ে তার মত হবু ইঞ্জিনিয়ার এর সরকারী চাকুরী পাবার নির্বিঘ্ন সুযোগ আর দেয়া গেল না। টিভি-মিডিয়ায় নারী নির্যাতন/হয়রানীর এত বিচার দেখেও এসব শিক্ষিত বেয়াদবদের কোনো বোধ হয়নি।’