ডেস্ক নিউজ
মাস র্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি) মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবনে নতুন যুগ শুরু হবে বলে আশা করেছেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরায় এমআরটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন এলাকায় সাংবাদিক প্রতিনিধিদলের কাছে তিনি এ আশার কথা জানান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রঙের এই ট্রেনগুলো (মেট্রো রেল) জাপানি প্রযুক্তি দিয়ে চলবে। এমআরটি পরিবর্তিত ঢাকার প্রতীক এবং বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্বেরও নিদর্শন।
জাপানের সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন ওই প্রকল্প প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে মহামারি সংকট—অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে এই প্রকল্প। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। এ ধরনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় নতুন এই সেবা চালুর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, এই প্রকল্প বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ-বেল্টের (বিগ-বি) অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের দ্রুত বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প অনেক মানুষকে আকৃষ্ট করেছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা অনেক লক্ষ্য ঠিক করেছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর ২০২১ সালে মেট্রো রেলের পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল শুরু হয়েছে। আগামী বছর বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীতে মেট্রো রেলের ছয় নম্বর লাইন (এমআরটি লাইন-৬) চালু হবে।’
জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো উন্নত হওয়ার আশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী বছর ডিসেম্বর মাসে স্বপ্নের মেট্রো রেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় হলে তা হবে চমৎকার।