করোনার টিকা দিতে সারা দেশে আলাদা কোল্ড চেইন তৈরি করছে সরকার। কেনা হচ্ছে বিশেষ ধরনের ৪শ ৬৮টি ফ্রিজ। এগুলো বসানো হবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে। টিকার সুষ্ঠু বণ্টনে জেলা-উপজেলায় গঠন করা হয়েছে কমিটি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৩ কোটি ভ্যাকসিন পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রয়োগে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৭ কোটি টাকা।
দেশে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ও মাইনাস ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার কোল্ড চেইন আছে সরকারি পর্যায়ে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন রাখতে আগে থেকেই থাকা টিকাকর্মসূচির ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার কোল্ড চেইন ব্যবহার করা যাবে।
তারপরও বাড়তি প্রস্ততি হিসেবে ৪শ ৬৮টি আইস লাইনার ফ্রিজ কিনছে সরকার। এছাড়া ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার, কোল্ড বক্স, আইস প্যাক, সিরিঞ্জ, মাস্ক ও পিপিইসহ কেনা হচ্ছে দরকারি ৯ রকমের উপকরণ।
টিকার বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে জেলা-উপজেলায় গঠন করা হয়েছে কমিটি। সুষ্ঠু প্রয়োগে ১০ হাজার ৪০০ দলে ভাগ হয়ে কাজ করবেন ৬২ হাজার ৪০০ প্রশিক্ষিত ব্যক্তি।
প্রতি দলে সদস্য সংখ্যা ৬ জন। প্রথম ধাপে ৩ কোটি টিকা দেয়ার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩শ ১৭ কোটি টাকা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকা দেয়া। দেশেও চলছে এ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের ৫০ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ। এরপরের ৫ মাসে আনা হবে বাকি আড়াই কোটি টিকা।