ডেস্ক নিউজ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও রাজস্ব আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান উল্লেখ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ মন্তব্য করেছে।
শুক্রবার ম্যানিলা থেকে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সাপ্লিমেন্ট’ প্রতিবেদনে এশিয়ার অর্থনীতির ২০২১ এবং ২০২২ সালের পূর্বাভাস রয়েছে। এডিবি গত এপ্রিলে এডিও প্রকাশ করে। আর জুলাইতে এসে এর সম্পুরক প্রতিবেদন প্রকাশ করল।
বাংলাদেশ, ভারতসহ কয়েকটি দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এডিবি অবশ্য ২০২১ সালে এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের চেয়ে কিছুটা কমিয়েছে। এপ্রিলে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল, যা এখন ৭ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে সংস্থাটি। যদিও ২০২২ সালের জন্য আগের পূর্বাভাস ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ করেছে। ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়েছে এডিবি।
সম্পূরক প্রতিবেদনে চীন, ভারতসহ বড় অর্থনীতির কয়েকটি দেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আলাদা করে রয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যা নেই। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিধিনিষেধ আরোপ করায় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এপ্রিলের মূল প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ছয় দশমিক আট শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল এডিবির।
এডিবির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে গত অর্থবছরের ১১ মাসের প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে পুরো অর্থবছরের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইপিবি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।