ডেস্ক নিউজ
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন তার পরিবার। ব্যাংকে কর্মরত সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদ অনুযায়ী এ ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে আগে জারি করা সার্কুলারটি বাতিল করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ মার্চ জারি সার্কুলারে কোনো ব্যাংকারের মৃত্যু হলে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান ছিল। এবার তা পাঁচ গুণ বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে এ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
নতুন নির্দেশনাটি গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে। ফলে গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী করোনার কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রত্যেক পরিবারই নতুন হারে ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। আগে যারা ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন তারা এখন বাড়তি টাকা পাবেন।
সার্কুলারে বলা হয়, এসব ক্ষতিপূরণের অর্থ মৃত ব্যাংকারের স্ত্রী, স্বামী বা সন্তানরা পাবেন। অবিবাহিত হলে পাবেন বাবা-মা। করোনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মৃত্যু হলে ব্যাংকের অন্য কোনো দায়দেনার সঙ্গে এ ক্ষতিপূরণের অর্থ সমন্বয় করা যাবে না। অন্য কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতিমালার আওতায় প্রদেয় অর্থের অতিরিক্ত হিসাবে এ ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রাপ্য হবেন।
সার্কুলারে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি ধাপে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার, সমমান হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছেন, ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার, সমমান হতে প্রথম ধাপের আগ পর্যন্ত কর্মকর্তারা সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা এবং তৃতীয় ধাপে স্টাফ, সাব স্টাফ (যে কোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত বা নিয়োগকৃত) হলে পাবেন ২৫ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং সেবাকে জরুরি হিসাবে ঘোষণা করে সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছে।