ডেস্ক নিউজ
কর্মসংস্থান সৃষ্টি, করোনার প্রভাব থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকট মোকাবিলার দক্ষতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।\হসরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন চুক্তিতে সই করেন। ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে।
ইআরডি জানায়, সরকার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ, পরিবেশ তৈরিসহ কিছু নীতি সংস্কারের কর্মসূচি নিয়েছে। কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ আধুনিকায়ন এবং পিছিয়ে পড়া ও দুস্থ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে সুযোগ বাড়ানো। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে তিন অর্থবছরে ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয় বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৫ কোটি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এবার চলতি অর্থবছরে এই ঋণ কর্মসূচির শেষ পর্ব হিসেবে বাকি ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হবে।
৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে এ ঋণ। এর সুদহার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর সার্ভিস চার্জ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যে পরিমাণ অর্থ সরকার উত্তোলন করবে, তার ওপরই সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। আর যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করা হবে না, তার ওপর দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফিস দিতে হবে।
ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, সরকার দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়েছে। এ কর্মসূচি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দরিদ্রদের আয় বাড়াতে সহায়তা করবে। মার্সি টেম্বন এ বিষয়ে বলেন, দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর করোনাভাইরাস মহামারি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এ ঋণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।