ডেস্ক নিউজ
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের নতুন পোশাক ও বিশেষ খাবার দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (০৩ মে) ঈদের দিন সকালে পায়েস-মুড়ি, দুপুরে মাংস-পোলাও, মিষ্টি, সালাদ, পান-সুপারি এবং রাতে ভাত, রুই মাছ, ছোলার ডালের আয়োজন করা হয়েছে। খাবারের পাশাপাশি বন্দিদের অংশগ্রহণে বিকালে গান-বাজনার আয়োজন করা হয়েছে।
সকালে নারীদের একটি ছাড়া বাকি তিন কারাগারে ২০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে তাদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গী ও শিশুদের নতুন জামা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবার জেলা প্রশাসন ও কারাগার কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাদের মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করা হয়।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘এই কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯৯৭ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ৬০০ সহ তিন হাজার বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ঈদ উপলক্ষে দরিদ্র এক হাজার ২৮ বন্দিকে নতুন লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে। এখানে ১২টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের দিন তাদের বিশেষ খাবার দেওয়া হয়েছে।’
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া বলেন, ‘এই কারাগারে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি শাহাবুদ্দিন, ডেসিটিনির পরিচালক মোহাম্মদ হোসেনসহ প্রায় দেড় হাজার বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭১ জন ফাঁসির এবং শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। বন্দিদের অংশগ্রহণে এখানে চারটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে রবিবার ১০০ দরিদ্র বন্দির মাঝে লুঙ্গি বিতরণ করা হয়েছে। আজ দেওয়া হয়েছে বিশেষ খাবার।’
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই কারাগারে বন্দির সংখ্যা দুই হাজার ৭৯৮ জন। তাদের মধ্যে শতাধিক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং চার শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। এখানে বন্দিদের নিয়ে ঈদের চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় শনিবার ১৫০ দরিদ্র বন্দিকে লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন তাদের বিশেষ খাবার দেওয়া হয়েছে।’
মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন বলেন, ‘এই কারাগারে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়াসহ প্রায় ৭০০ বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ফাঁসির আসামি ৩০ এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধশতাধিক। কারাগারে (ডে-কেয়ার সেন্টারে) মা বন্দিদের সঙ্গে রয়েছে ৮৪ শিশু।’
তিনি বলেন, ‘কারাগারে নারী বন্দিদের জন্য ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত না হলেও নিজেরা নামাজ পড়েছেন। সকাল ও দুপুরে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়েছে। বিকালে বন্দিদের অংশগ্রহণে গানের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার জেলা প্রশাসক উপস্থিত থেকে ২৬৫ দরিদ্র নারী বন্দি ও (ডে-কেয়ার সেন্টারে) মা বন্দিদের সঙ্গে থাকা ৮০ শিশুকে নতুন জামা দিয়েছেন।’