ডেস্ক নিউজ
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সেবা দিতে নিজ নির্বাচনী এলাকার তিনটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। মন্ত্রীর উদ্যোগ এবং আবুল খায়ের গ্রুপের সহযোগিতায় জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও লালমাই উপজেলার বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালে দু’টি করে আইসিইউ শয্যা স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এসব হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামও।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩টি হাসপাতালে একযোগে আইসিইউ সেবা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। একই সময়ে সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোর সেবারও উদ্বোধন করবেন তিনি।
শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার বলেন, অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসিইউ ও হাইফ্লো অক্সিজেন সেবা চালু করা হচ্ছে। প্রতিটি হাসপাতালে ২টি করে আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিটি উপজেলার রোগীরা স্ব-স্ব হাসপাতালে গিয়ে এসব সেবা নিতে পারবেন।
জানা গেছে, বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় দু’টি আইসিইউ শয্যা, দু’টি হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা, তিনটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, একটি বাইপেপ ভেন্টিলেটর, একটি সিপেপ ভেন্টিলেটর, ১২টি সিলিন্ডার সম্বলিত সেন্ট্রাল অক্সিজেন, ইসিজি ও এক্সরে মেশিন, দশটি অত্যাধুনিক পেশেন্ট মনিটর, একটি অটোক্লেভ মেশিন, একটি লেরিঙ্গোস্কোপ মেশিন, দু’টি বৈদ্যুতিক সাকার মেশিন ও দশটি স্পেশাল শয্যা স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালের নিজস্ব উদ্যোগে ১২ শয্যার আইশোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। অপর দু’টি হাসপাতালেও প্রায় একই চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে।
বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা.আনোয়ার উল্যাহ বলেন, শিগগিরই এখানে আইসিইউসহ অন্যান্য সেবার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী মহোদয়। তবে আইসিইউ সেবা চালু রাখতে হলে এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করতে হবে।
জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব বলেন, আমাদের এখানে আইসিইউ শয্যা স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এখন চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রী মহোদয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে জেনেছি। এর মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা ভালো সেবা পাবে।