ডেস্ক নিউজ
ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা কোটি টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন পেয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন, দুজনে মিলে ৬ কোটি টাকা দিয়ে ঢাকার দুই সিটির মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতারা বঞ্চিত হওয়ায় ঢাকার দুই সিটিতে পরাজয় নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ দলটির কর্মী-সমর্থকরা।
তবে রাজধানীর দুই সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ও গুঞ্জন সত্য নয় বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। তবে জাতীয় পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য দেশিয় রাজনীতির একটি অংশে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। সাধারণত অযোগ্য, অপরীক্ষিত ও ব্যর্থ নেতা-যারা মনোনয়ন পান না তারাই সাধারণত মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেন বলেও পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
ঢাকার মতো দুই সিটিতে তরুণ নেতাদের মনোনয়ন দেয়া নিয়ে বিএনপির নতুন চ্যালেঞ্জকে স্বাগতম জানিয়েছেন তিনি। তবে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় ও দক্ষ দুই প্রার্থীর বিপরীতে বিএনপির তরুণ প্রার্থীরা কতোটা সফল হতে পারবেন, সেটি নিয়েও কিছুটা শঙ্কিত বিএনপির এই নেতা।
রিজভী আহমেদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে আমাদের অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ থেকে বের হতে আমরা চেষ্টা করেছি। তবে কতটা সফল হয়েছি, সেটি সময় বলবে। আমরা বিএনপিকে নতুন রূপে জনগণের সামনে তুলে ধরতে চাই। নতুন বিএনপিতে মনোনয়ন বাণিজ্য, পদবাণিজ্যের কোন স্থান নেই।
এদিকে, বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত একাধিক নেতাকর্মী ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি অবস্থা সংকটাপন্ন। এ অবস্থায়ও যদি তারা টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করে, তবে সেটি হবে দুঃখজনক। বিএনপির জন্য এতো বছর নিজেকে নিবেদিত করে কী লাভ হলো, যেখানে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে টাকার কাছেই বিক্রি হয়ে যান একটি দলের চেয়ারম্যান।