ডেস্ক নিউজ
৯৮ জন বাংলাদেশি কর্মী বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কোরিয়ার উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার সেদেশে বিদেশি কর্মীদের চাকরির সুযোগ স্থগিত করে। তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রবাসীদের জন্য স্থগিতাদেশ তুলে নেয়।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুনরায় চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ৩৪১ জন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১১১ জন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৩০ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে ৯৮ জন কোরিয়ায় গেছেন।
এবার নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪১ জন নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। বাকি ৬৭ জন আগের কর্মী, যারা পুনরায় প্রবেশ করেন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের ১৩০ জনের আরেকটি ব্যাচ কোরিয়া যাবে।
কোরিয়া ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও স্বল্প-দক্ষ বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে আসছে। তবে করোনা মহামারির কারণে কোরিয়ান সরকার ইপিএস কর্মীদের গ্রহণ স্থগিত করেছিল।
কর্মী প্রেরণকারী দেশগুলোর পাশাপাশি সেদেশের নিয়োগকর্তারাও কোরিয়ান সরকারের কাছে ক্রমাগত অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে সীমিত সুযোগে এবং পর্যায়ক্রমে কোয়ারেন্টিন ও কঠোর কোভিড-১৯ সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাসহ গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রবাসীদের জন্য স্থগিতাদেশ তুলে নেয় কোরিয়ান সরকার।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ইপিএস পদ্ধতিতে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ৮০.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০৯.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।