ডেস্ক নিউজ
কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর’ মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
শুক্রবার সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের লোটে হোটেলে এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
কোরিয়ান ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অনুবাদ করেছেন লি ডং-হেওন। কোরিয়ার প্রকাশনা সংস্থা মোরায়েল এলএলসির ব্যবস্থাপনায় বইটি অনলাইনে পাওয়া যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় বইয়ের দোকান থেকেও বইটি কেনা যাবে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খানের দুটি ভিডিও বার্তা দেখানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর এই আত্মজীবনীতে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি মানবতাবাদ ও বিশ্বশান্তির প্রতি তার নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন প্রতিফলিত হয়েছে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র কোরিয়ান সংস্করণ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুভাবাপন্ন জনগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির জীবন, তার সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি, দর্শন ও বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদ সদস্য সুল হুন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত ব্যুরোর মহাপরিচালক লি সাংগ্রিওল অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সুল হুন বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশি জনগণকে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে এবং তাদের পূর্বপুরুষের ভূমিতে শান্তিতে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
“তাছাড়া, জাতির পিতা হিসেবে তিনি দেশকে পুনর্গঠন, গণতন্ত্র ও শান্তির উন্নয়নে অতুলনীয় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।”
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, কোরিয়ার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের সদস্য, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং সিউলে বসবাসরত বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এর আগে কোরিয়ার পাঠকদের জন্য বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধু- দ্য পিপল’স হিরো’ বইটিও কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা করা হয়।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় জীবন ও কর্মের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এছাড়া মুজিববর্ষের ওপর নির্মিত ‘থিম সংসহ’ বাংলাদেশি শিল্পী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের অংশগ্রহণে পূর্বে-ধারণ করা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখানো হয়। বাংলাদেশের হস্তশিল্প এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্য নিয়ে একটি প্রদর্শনীও হয় এ সময়।