নিউজ ডেস্ক:
যুবদলের সাবেক নেতা ও মাফিয়া ঠিকাদার জি কে শামীমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে গ্রেপ্তার হতে যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ও নজরুল ইসলাম খান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীমের পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খানের নাম জানিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, জি কে শামীম বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। মির্জা আব্বাসের তত্ত্বাবধানেই জি কে বিল্ডার্সসহ তার অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছেন শামীম। এই প্রেক্ষাপটে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান।
জানা গেছে যে, মির্জা আব্বাসের হাত ধরেই জি কে শামীমের উত্থান। বিগত বিএনপির শাসনামলে মির্জা আব্বাস যখন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন তখনই গণপূর্তে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন শামীম। তার গডফাদার ছিলেন মির্জা আব্বাস।
এদিকে জি কে শামীমের অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা, অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে একটি খাতাও খুঁজে পায়। ওই খাতায় দেখা যায় যে, বিএনপি শীর্ষস্থানীয় নেতা মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খানকে নিয়মিত অর্থ দিতেন জি কে শামীম। উক্ত খাতাটি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে। মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খান শামীমের কাছ থেকে যে নিয়মিত টাকা পেতেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই টাকার অংকটা কোটির ঘরে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খান বাদে আর কোন নেতা জি কে শামীমের কাছ থেকে টাকা পেতেন তা নিয়েও তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্স থেকে তাকে আটক করে র্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকাও উদ্ধার হয়।