ডেস্ক নিউজ
দিন যত যাচ্ছে তত এগিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। জাতীয় সম্মেলন ঘিরে সর্বত্র ক্লিন ইমেজের তরুণদের আহ্বান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে। দলে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে এবার স্বচ্ছ ইমেজের তরুণদের কাছে টানছে দলটি। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনে তরুণদের পদায়নকে অগ্রাধিকার দিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দলের নীতিনির্ধারকরা।
বর্তমান মন্ত্রিসভার মতোই এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগেরও তরুণ নেতারা প্রাধান্য পেতে যাচ্ছেন। ক্লিন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির একঝাঁক তরুণ সাবেক ছাত্রনেতাদের সামনে যেমন কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনে পদ লাভের হাতছানি, তেমনি গত ১০ বছরে বিতর্কিত ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ব্যর্থ অনেক কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাই পদ হারানোর ভয়ে এখন আতঙ্কিত। সব মিলিয়ে কাউন্সিল যতই ঘনিয়ে আসছে, ক্ষমতাসীন দলটিতে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে চলছে নতুন মেরুকরণ।
নভেম্বর থেকেই শুরু হবে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর ধারাবাহিক সম্মেলন। ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন। দলে নতুন পদ পেতে এবং নিজের পদটুকু অন্তত ধরে রাখতে নেতাদের পদচারণায় এখন মুখরিত আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও ধানমন্ডির কার্যালয়। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নতুন নেতৃত্ব তৈরি এবং যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলের গত তিনটি জাতীয় সম্মেলনে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নতুনদের নেতৃত্বে নিয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এবারও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। অনেক নতুন মুখ আসবে, বাদ পড়তে পারেন বর্তমান কমিটির অনেকেই।
দল শক্তিশালী রাখতে সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা যাতে সার্বক্ষণিক দলে সময় দিতে পারেন, এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এক নেতা একই সময় মন্ত্রী হলে তাঁকে দল ও সরকারে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ অবস্থায় দুই দিকে সময় দিতে গিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই এ বিষয়টিও আলোচনায় আসছে বেশ জোরালোভাবেই।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সম্মেলন সফল করতে গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। তবে সম্মেলনকে ঘিরে দলের সর্বত্রই একই আলোচনা, কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনগুলোয় কারা স্থান পাচ্ছেন, কাদের কপাল পুড়ছে! দুর্নীতি সন্ত্রাস ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত নেতাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থান ও সারাদেশে চলা শুদ্ধি অভিযানে স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজে সাবেক ছাত্রনেতাদের এবার মূল নেতৃত্বে আসার পথ মসৃণ করেছে।