ডেস্ক নিউজ
জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অনাকাক্সিক্ষত হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন।
শনিবার তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় সংসদে সাক্ষাত করলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতকালে তারা সম্প্রতি রংপুরের পীরগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অনাকাক্সিক্ষত হামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পীকার বলেন, সরকার পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অতীব মানবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আর্তমানবতার সেবায় সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৮টি বাড়ি পুনর্নিমাণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিনিধি দলের প্রধান এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। মানবতার চেয়ে বড় কিছু নাই উল্লেখ করে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পীরগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্পীকারকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি স্পীকারের মাধ্যমে পীরগঞ্জসহ সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের প্রতিনিধি দল স্পীকারের কাছে পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সর্বমোট ৫০ লাখ টাকা মূল্যের চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় স্পীকার পীরগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, ড্রিম হলিডে পার্কের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার সাহা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, নারায়ণগঞ্জ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দিপক কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন পালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।