ডেস্ক নিউজ
সর্বাত্মক ‘লকডাউনে’ অবশেষে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘লকডাউনের’ দিনগুলোতে (সরকারি ছুটি ছাড়া) ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এই সময়ে ব্যাংকের স্থানীয়, প্রধান শাখাসহ সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরের ব্যাংকের প্রধান শাখা খোলা রাখতে হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা (এডি শাখা না থাকলে) খোলা রাখতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এসংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে ব্যাংক খোলা থাকায় শেয়ারবাজারের লেনদেনও চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরো বলা হয়, এ সময়ে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বিধি-নিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেগুলোর গ্রাহকসেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘বিধি-নিষেধের আওতায় সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলেছে সরকার। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। কিন্তু এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংক একদম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি যুক্তিযুক্ত ছিল না। কারণ ব্যাংক বন্ধ থাকলে শুধু ব্যক্তি গ্রাহক অসুবিধার সম্মুখীন হয় না, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’