ডেস্ক নিউজ
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র সুসংহত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে সমগ্র বিশ্ব একীভূত। সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন পোর্টাল, প্রিন্ট মিডিয়ায় সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমকে কাজ করার ও চলমান উন্নয়নকে টেকসই করার ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাধারণ সভা ২০২১-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ডিআরইউর সাধারণ সভার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। বক্তব্য রাখেন ডিআরইউর সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, রফিকুল ইসলাম আজাদ, মাহফুজুর রহমান, শফিকুর রহমান সাবু, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী শুভ প্রমুখ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনসহ সাংবাদিকদের অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করেছে। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল সুবিধার কারণে কভিডকালীন এই সময়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের চলমান উন্নয়নকে টেকসই করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ডিআরইউর সার্বিক সফলতা কামনা করে স্পিকার আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিআরইউ গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার, পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ডিআরইউ পুরুষ সাংবাদিকদের পাশাপাশি সমভাবে নারী সাংবাদিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে যা প্রশংসনীয়। বস্তুনিষ্ঠ-গঠনমূলক সাংবাদিকতার বিকাশ, সাংবাদিকদের কল্যাণ, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও পেশাদারিত্বের মানোন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে ডিআরইউ। অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক, সাংবাদিক নেতারা, ডিআরইউ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকারের সঙ্গে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে গতকাল জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিনিধি ড. ইকো নারিতা, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষৎকারের সময় কভিড-১৯ পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য ও লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে আলোচনা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের যুবসমাজকে নিয়ে সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করতে বিএপিপিডি প্রকল্পের আওতায় কাজ করা যেতে পারে। এ প্রকল্পের সাব- কমিটিগুলো সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, অ্যাডভোকেসি ও সভা এ প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ সময় যুবসমাজকে দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্পিকার।