ডেস্ক নিউজ
দলের সিনিয়র দুই নেতার বিনা-নোটিশে পদত্যাগ, পদত্যাগের পাইপ লাইনে থাকা একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঁয়তারায় ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছে বিএনপি। দলকে ভেঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মুখাপেক্ষী করতে দলের অভ্যন্তরীণ কিছু চক্র এই নোংরা ষড়যন্ত্রে মেতেছে বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তবে নেতারা বিভিন্ন রকম প্রলোভন এড়িয়ে মনোযোগী হতে পারলে বিএনপির ভাঙন রোধ করা সম্ভব বলেও মনে করছেন রিজভী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। এদিকে রিজভীর এমন বক্তব্যে উপস্থিত সিনিয়র নেতারা অস্বস্তিতে পড়েন বলেও জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপির একজন সিনিয়র নেতার বরাতে জানা গেছে, অনুষ্ঠানের শুরুতে রিজভী দলত্যাগী মোরশেদ খান ও মাহবুবুর রহমানের কঠোর সমালোচনা করেন। ব্যর্থতা ঢাকতে এই দুই নেতা পদত্যাগ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তবে দু-একজন নিষ্ক্রিয় সিনিয়র নেতাদের পদত্যাগে দলের তেমন ক্ষতি না হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। অবশ্য পদত্যাগের পাইপলাইনে থাকা একাধিক সিনিয়র নেতাদের সহসাই পদত্যাগ না করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং কোনো ধরণের প্রলোভনে না পড়ার আহ্বান জানান রিজভী। অর্থ-বিত্ত কিংবা অন্য যেকোনো দাবি মেটাতে পদত্যাগ না করে সরাসরি তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে পদত্যাগে ইচ্ছুক নেতাদের অনুরোধ করেন তিনি। বিপদের দিনে গণপদত্যাগ বিএনপির অস্তিত্ব ও আগামীর সংগ্রামের পরিকল্পনাকে চরমভাবে বিপর্যস্ত করবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি গোপনে সুবিধা আদায় করে দলত্যাগ করতে প্রস্তুত নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রয়োজনে আরো কঠিন হওয়ারও আভাস দেন রিজভী। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে।
সিনিয়র নেতাদের পদত্যাগ না করার বার্তা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী আহমেদ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমি এমন বক্তব্য দিয়েছি। দল বাঁচাতে প্রয়োজনে আমি আরো কঠোর বক্তব্যও দিতে রাজি আছি। আমি সিনিয়র নেতাদের বলবো, পদত্যাগ না করে রাজপথে নামুন। আপনারা বিএনপির রাজনীতি করেই কিন্তু জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন। সুতরাং বিপদের দিনে বিএনপিকে একা ফেলে যাবেন না।