নাটোর প্রতিনিধি:
“মুজিব বর্ষে অঙ্গিকার করি, ডিজিটাল গুরুদাসপুর গড়ি”এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজারে চুরি, ডাকাতি , ছিনতাই সহ সকল প্রকার অপকর্ম রোধে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকালে উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারের রসুন হাটায় এই সিসি টিভি ক্যামেরা বসানোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সামসুল শেখ ও চাঁচকৈড় বাজারের ব্যবসায়ীগণসহ সর্বস্তরের জনসাধারন।
স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, মাঝে মাঝেই এলাকায় চুরি ,ছিনতাই সহ মানুষজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু নিজে চোখে দেখলেও কেউ এর প্রতিবাদ করতে চায়না। অনেক সময় প্রকাশ্যে দিবালোকে সন্ত্রাসী হামলা বা ব্যাবসায়ীদের কাছে থেকে চাঁদাবাজী করা হয়। ব্যবসায়ীরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে কিছু করতে পারেনা এবং পুলিশকেও বিষয়টি জানাতে পারেনা ভয়ে। এখন এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হলো। এখন সন্ত্রাসীরা বা ছিনতাইকারীরা অনেকটা ভীত হবেন। এভাবে গুরুদাসপুরের প্রধান প্রধান স্থানে যদি সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয় তাহলে গুরুদাসপুর থেকে অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, তার মেয়ে বাজারের মধ্যে দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে বাজারের মধ্যে দিয়েই ফিরে আসে। অনেক সময় বাজারের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বখাটে শ্রেনীর ছেলেরা তার মেয়েকে বিরক্ত করে। রাস্তায় কিছু উঠতি বয়সের যুবক রয়েছেন তাদের কাজই হলো মেয়েদের ইভটিজিং করা। নিজেদের সম্মানের কথা চিন্তা করে ও মেয়েদের পড়াশুনার কথা চিন্তা করে তারা কোন কিছু বলতে পারেনা। এছাড়াও অনেক স্থানে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করলেও তাদের ভয়ে কেউ কিছুই বলতে পারেনা। এবার সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হল তিনি আশা করেন তাদের মেয়েরা এখন নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।
এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, চাঁচকৈড় বাজারে মোট ৩৭ টি সিসি ক্যামেরা বসানো হল। যা মনিটরিং করবে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। বাজারের কোথায় কি হচ্ছে তা থানায় বসেই দেখা যাবে। কোন রকম অপকর্ম দেখা গেলেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে যাবে। এলাকার ব্যাবসায়ীদের এমন উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান। তিনি মনে করেন এখন এলাকার অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।