নাটোরের গুরুদাসপুরে পুকুর থেকে ফাতেমা নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধারের দুই সপ্তাহ পর মামলা দায়ের করেছে নিহত শিশুর মা মিনারা বেগম। মামলা দায়েরের পর প্রতিবেশী সোনালী নামে এক শিশুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সোনালী একই এলাকার দিরেশ উদ্দিন সরদারের মেয়ে ও স্থানীয় বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার উপজেলার মশিন্দা গ্রাম থেকে সোনালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত ফাতেমা মশিন্দা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম জানান, গত ২৬ জুন উপজেলার মশিন্দা গ্রামের একটি পুকুর থেকে ফাতেমা নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। প্রথমে নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিশু ফাতেমার মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে প্রতিবেশী দিরেশ উদ্দিনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে সোনালীকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সোনালীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্য দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আজ শুক্রবার সোনালীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।