ডেস্ক নিউজ
ডাটাবেজ ইন্ডাষ্ট্রি ইকোসিস্টেমের সম্প্রসারণে একটি নতুন গবেষণা প্রোগ্রাম চালুর ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে। চীনের বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী হুয়াওয়ে কানেক্ট ২০১৯ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ‘গাউসডিবি গোল্ডেন সীডস ভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ প্রকল্পের আওতায় হুয়াওয়ে গবেষণা খাত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিলে প্রশিক্ষণ, ইন্টার্ণশিপ এবং কাজের সুযোগ তৈরি করার জন্য প্রায় ১৭৯ কোটি টাকা (২১.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করবে।
বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে হুয়াওয়ে ১০টি গাউসডিবি ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে ৪টি ল্যাবের। ল্যাব চারটি যথাক্রমে ইস্ট চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটি (ইসিএনইউ), ইউহান ইউনিভার্সিটি (ডব্লিউএইচইউ), চংকিং ইউনিভার্সিটি অব পোস্টস এন্ড টেলিকমিউনিকেশন্স (সিকিউইউপিটি) এবং ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি ফর বিগ ডাটা সফটওয়্যার অব দ্যা শিংশুয়া ইউনিভার্সিটিতে (এনইএলবিডিএস) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে, হুয়াওয়ের আইসিটি ষ্ট্র্যাটেজি এন্ড মার্কেটিং এর প্রেসিডেন্ট এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অব বোর্ড ডেভিড ওয়াং বলেন, “আমাদের প্রাত্যহিক কাজ জীবনযাত্রার মানকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছে ডাটা এবং ইন্টেলিজেন্স। ডাটা একটি নতুন রিসোর্সে পরিণত হচ্ছে এবং ইন্টেলিজেন্স বৃদ্ধি করছে উৎপাদনশীলতা। আগামী ১০ বছরে ডাটা ও ইন্টেলিজেন্স কনভার্জেন্সের বিভিন্ন সমস্যাদি সমাধানের জন্য হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত। এছাড়াও আমরা গাউসডিবি অবকাঠামো উন্মোচনের মাধ্যমে ডাটাবেস শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং আসন্ন গাউসডিবি গোল্ডেন সীডস ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামে আমরা শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করে আগামীর ডাটা অবকাঠামোর
প্রতিভাদের খুঁজে বের করে তাদেরকে আরো দক্ষ করে তুলবো। আমরা গ্রাহক, অংশীদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে একটি উন্মুক্ত এবং সহযোগিতামূলক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা প্রত্যেককে উপকৃত করবে এবং নিয়ে আসবে ব্যবসায়িক সাফল্য।”
ডিজিটাল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হলো আধুনিক শিল্প বিপ্লবের অপর নাম, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজকেও বদলে দিচ্ছে। হুয়াওয়ের গ্লোবাল ইন্ডাষ্ট্রি ভিশন (জিআইভি) রিপোর্ট ২০১৫ অনুযায়ী, বার্ষিক গ্লোবাল ডাটার ব্যবহারের পরিমাণ ১৮০ জেটাবাইট (জেডবি) এ পৌঁছে যাবে, যার মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজগুলো তাদের উৎপাদিত ডাটার ৮৬ শতাংশ ডাটাকে পুঁজিতে রুপান্তর করতে পারবে। ডিজিটাল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করা এন্টারপ্রাইজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হুয়াওয়ে ইন্ডাষ্ট্রি পার্টনারদের সাথে কুনপেং ডেটা ইন্ডাষ্ট্রি ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি ইন্ডাষ্ট্রিতে অ্যাসসেন্ড এবং কুনপেং প্রসেসরের মাধ্যমে ডাটা অবকাঠামো এবং ইন্ডাষ্ট্রি অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনা করাই হুয়াওয়ের মূল লক্ষ্য।
হুয়াওয়ে সম্পর্কে:
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন
নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল শেষে হুয়াওয়ের আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.৫% বেশি। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নে (আরএন্ডডি) বিনিয়োগ মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%, যার ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ফাইভজি’র ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যদের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে।