নিউজ ডেস্ক:
নেতিয়ে পড়েছে ফরিদপুর জেলা বিএনপি। দলীয় কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। বিগত কয়েক বছর ধরে নেতারা নিষ্ক্রিয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে হতাশা বিরাজ করছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে।
জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেবার কথা জানানো হয়। একই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি আহবায়ক কমিটি করারও কথা বলা হয়। কিন্তু ১ মাস পেরিয়ে গেলেও আহবায়ক কমিটি গঠন হয়নি।
এদিকে বর্তমানে ফরিদপুর জেলা বিএনপি অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ফরিদপুর জেলা বিএনপি। দলটির জেলা কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি একদিকে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন অন্যদিকে। কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় জেলার নেতাদের দ্বন্দ্বের কারণে সহসাই আহবায়ক কমিটি হচ্ছে না এমনটি জানা গেছে।
সূত্র বলছে, বর্তমানে জেলা কমিটির পদ পেতে নেতারা ঢাকায় বসে তদবির করছেন। ফলে কমিটি গঠন হলেও অযোগ্যদের পদ দেয়ার আশঙ্কা ভর করেছে নেতাদের মনে। এর প্রেক্ষিতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করছেন যে, দীর্ঘদিন যাবত দলের সম্মেলন না হওয়ায় এবং সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত না হওয়ায় জেলা বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের ম্যানেজ করে পকেট কমিটি করায় সেই কমিটি পূরণ করা হয়েছে অযোগ্য এবং সুবিধাবাদীদের নিয়ে। ফলে রাজপথে যারা ত্যাগী ও ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছেন তারা দলের কোনো পদে নেই। যার কারণে রাজপথের আন্দোলনে বিগত দিনে বিএনপি কোনো সফলতা পায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের পদ দেওয়ার কারণে অনেকেই দল ছেড়েছেন। কেউবা রাজনীতি থেকে দূরে সরে রয়েছেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসেন দলের সিনিয়র ও জুনিয়র নেতারা। এবার কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে এমনটি মনে করে দলের কর্মীরা উৎফুল্ল হলেও এখন ভোটের মাধ্যমে কমিটি হওয়া নিয়ে তাদের মনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির সাবেক এক প্রভাবশালী নেতা জানান, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি চক্র নিজেদের মতো করে পকেট কমিটি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ফের পকেট কমিটি হলে একসময়ে বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ফরিদপুর বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। যা কেন্দ্রের মতো ফরিদপুরকেও বেহাল করে দেবে।