ডেস্ক নিউজ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদকে সামনে রেখে শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এ দুই ঘাট দিয়ে মানুষের পারাপার নিয়ন্ত্রণে বিজিবি অবস্থান নিয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলা প্রশাসনের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা বিজিবি মোতায়েন করেছি।”
স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে মূলত এই দুই ঘাটে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কায় বিআইডব্লিউটিসি শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু তারপরও শতশত মানুষ এই দুই ঘাটে চলে আসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। এক পর্যায়ে ঘরমুখো মানুষের চাপে ফেরি চলাচল শুরু করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে চাহিদা অনুযায়ী যেখানে প্রয়োজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সেখানেই বিজিবি মোতায়েন করা হবে বলেন তিনি।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ‘এনায়েতপুরী’ নামের একটি ফেরিকে ৩ নম্বর ঘাটে আসতে দেখে আশপাশে থাকা আরও যাত্রীরা ছুটতে থাকেন ঘাটের উদ্দেশে।
এদিকে, শনিবার রাতে শিমুলিয়া ঘাট ছাড়াও ধলেশ্বরী সেতুর সামনে বিজিবির চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন।
রাত সাড়ে ৯টায় তিনি জানান, ধলেশ্বরী সেতুর সামনের চেকপোস্ট দিয়ে জরুরি কোনো যানবাহন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাকি সদস্যরা শিমুলিয়া ঘাট ও আশপাশে অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে ‘দিনের বেলা ফেরি বন্ধের’ সরকারি ঘোষণার পর শনিবার ভোর সাড়ে ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময়ে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় পণ্যবাহী বেশ কিছু ট্রাক ছাড়াও বেশ কিছু ছোট যান আটকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে ফেরি বন্ধের ঘোষণার পরও হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে শিমুলিয়া ঘাটে। পরিস্থিতির চাপে কয়েকটি ফেরি দিয়ে মানুষজনকে পার করে দেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাও ৫টি ফেরি দিয়ে জরুরি যানবাহন পারাপার করা হবে।