ডেস্ক নিউজ
জুলাইয়ের ধারাবাহিকতায় আগস্টেও প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগস্ট মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এটি আগের বছরের আগস্টের চেয়ে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দুই মাসের (জুলাই-আগস্ট) হিসাবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত বছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৩৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। এই বছরের একই সময়ে এসেছে ৪১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। এ সময়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার (প্রায় ২.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
জানা যায়, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া হারের চেয়ে বেশি দরে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে। এতে প্রবাসীরা উৎসাহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, রেমিট্যান্স প্রবাহ গত দুই মাস ধরে ইতিবাচক রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে সামনের দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ প্রবাসী আয় নেতিবাচক হলে ডলারের ওপর চাপ বাড়ে। বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ পড়ে। এতে মার্কিন এ মুদ্রাটির দর অস্বাভাবিক বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও ডলারের দর স্থিতিশীল রাখতে গলদঘর্ম হতে হয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ ডলারের প্রবাহ বাড়াতে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো ব্যাংক হারের চেয়ে বেশি দরে ডলার সংগ্রহ করায় প্রবাসীরা হুন্ডির বদলে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোতে সাড়া দিয়েছেন বলেই ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান।
গতকাল আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডলারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গতকালও ব্যাংকগুলো ১০৬ টাকা পর্যন্ত দরে প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করেছে। এর সঙ্গে প্রবাসীরা সরকারি আড়াই শতাংশ প্রণোদনাও পাচ্ছেন।