ডেস্ক নিউজ
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’ নামে রাজধানীর মহাখালীতে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল উদ্বোধন করা হবে আগামীকাল রোববার। এক হাজার শয্যার এ হাসপাতালে ১০০ শয্যার আইসিইউ এবং ১১২টি এইচডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে। উদ্বোধনের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হবে এ হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা-উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের (ছয়তলা) এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে এই হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে। এতদিন ভবনটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে ওই সেবা কার্যক্রমগুলো চলবে।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালে এখন চলছে ধোয়া-মোছার কাজ। এর মধ্যে দ্বিতীয়তলায় স্থাপন করা হয়েছে জরুরিবিভাগ। এই বিভাগে ৫০টি শয্যা রয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চমতলার দোকানগুলোয় দুটি করে শয্যা বসানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি ফ্লোরের ফাঁকা জায়গায় কাচ দিয়ে বড় একটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এই কক্ষটিতে ২৫টি শয্যা রয়েছে। এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়তলায় পৃথক কয়েকটি কক্ষ নিয়ে আইসিইউ এবং এইচডিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। এখন এই দুটি বিভাগে ধোয়া-মোছার কাজ করছেন কর্মীরা। তা তদারকি
\হকরছেন বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে শতাধিক চিকিৎসক ও দুই শতাধিক নার্স কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকিরা শনিবারের মধ্যে কাজে যোগ দেবেন। তবে হাসপাতালটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
জানতে চাইলে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘শনিবার হাসপাতালটি উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে। আশা করি রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটি উদ্বোধন করতে পারব। তবে এই হাসপাতালে আপাতত শুধু করোনা চিকিৎসা দেওয়া হবে। এখানে কোনো অপারেশন করা হবে না। অনেক করোনা রোগীর ডায়ালাইসিস করা লাগে। তাদের জন্য আইসিইউ বিভাগে চারটি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
পর্যাপ্ত জনবল এবং ওষুধ ছাড়া কিভাবে রোববার হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আশা করি শনিবারের মধ্যে পর্যাপ্ত জনবল ও ওষুধ পাব। ইতোমধ্যে যে পরিমাণ জনবল পেয়েছি, তাদের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করা হচ্ছে। তাদের নিজ নিজ কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছেন।’
গত বছরের ৯ আগস্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে মহাখালীর এই মার্কেটটিকে ৫০০ শয্যার আরবান (নগর) হাসপাতালে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।