ডেস্ক নিউজ
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশ মিত্রভাবাপন্ন প্রতিবেশী এবং অবিচ্ছেদ্য কৌশলগত অংশীদার। বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর গত ৪৭ বছরে আমাদের গভীর ও পরীক্ষিত বন্ধুত্ব এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ছড়িয়ে গেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দুই দেশের সক্ষম নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ ও শক্তিশালী হবে। এই বন্ধন টিকে থাকবে চিরকাল।
গতকাল চীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনায় লি জিমিং এসব কথা বলেন। রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত করতে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে চীনকে অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বহুমুখী। তবে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি কাড়ছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা। গত বছর আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। চীনে রফতানি বাড়াতে বাংলাদেশী ৯৮ শতাংশ পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, দাসিরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্ল্যান্টসহ বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প চীনের অর্থায়নে বাস্তবায়তি হয়েছে। চীনের আর্থিক সহায়তায় পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং বঙ্গমাতা অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকায় সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং সিস্টেম ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণকাজ শিগগির শেষ হবে।
লি জিমিং বলেন, করোনা মহামারী মোকাবেলা ও মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ও চীন একসাথে কাজ করছে। মহামারী নিরোধ যন্ত্রপাতি, টেস্টিং কিট, টিকা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করেছি। চীনে শিক্ষাকার্যক্রমের সাথে জড়িত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া আবারো শুরু হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ছয়টি এয়ারক্রাফট ভাড়া করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম এয়ারক্রাফটটি আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর চীনে পৌঁছাবে।