ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেণ বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেছেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের টিকা সংগ্রহ এবং যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে। গতকাল বুধবার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং বাংলাদেশ চীন চেম্বার অব কমার্সে অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চীনা রাষ্ট্রদূত এ সব কথা বলেন ।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশ যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে আলোচনা বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আলোচনায় চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের দুঃসময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল সামগ্রী সহায়তার কথা ভুলবে না চীন। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের প্রয়োজনের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। তিনি জানান, চীন সরকার খুব দ্রুতই দ্বিতীয় দফায় উপহারস্বরূপ আরো টিকা পাঠাবে। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
এর আগে গত ১২ মে চীন সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশে আসার ৯ দিনের মাথায় চীন সরকার দ্বিতীয় দফায় উপহার হিসেবে টিকা পাঠানোর ঘোষণা দেয়। চীন এই কার্যক্রমকে দুই দেশের মধ্যকার চলমান বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে। এছাড়া, গত ২৭ মে মন্ত্রিপরিষদ চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। চলমান জুন ও আগামী জুলাই, আগস্ট মাসের মধ্যে চীন থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রধান মো: সিরাজুল ইসলাম, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব-উজ-জামান, বিসিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ মো: সুলতান উদ্দিন ইকবাল এবং যুগ্ম মহাসচিব আল মামুন মৃধা, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি শারমিন রিনভি এবং অন্যরা বক্তব্য রাখেন।