নাটোরের ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের আত্মীয়ের বাড়ী থেকে এক শত বস্তা সরকারি গম উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের মাঝদীঘা পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে কুরবান আলীর বাড়ী থেকে এই গমের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাতনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অনেক নেতা-কর্মী বলেন, তোফাজ্জল এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান। তার মাথার উপরে দলের বড় বড় নেতাদের আশির্বাদ আছে। এমন সরকারী চাল,গম তিনি এর আগেও অনেকবার প্রকাশ্যে খেয়ে ফেলেছেন। দলের অনেক নেতাই তা জানে কিন্তু কেউ কিছু বলার সাহস পায়না। তার বিরুদ্ধে কিছু বললেই হয়রানী হতে হয়।
ছাতনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, তোফাজ্জল চেয়ারম্যান বর্তমানে দলের কোন পদে নেই। তবে তিনি পূর্বে দলের পদে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ শোনা যায় কিন্তু কি কারনে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনা। তিনি শুনেছেন আজ দুপুরে পুলিশ তার আত্মীয়ের বাড়ী থেকে খাল খনন প্রকল্পের ১০০ বস্তা সরকারী চাল সহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। দরিদ্রদের মুখের খাবার যে চেয়ারম্যান লুট করে নেয় সেই চেয়ারম্যানে শাস্তি হওয়া উচিৎ। তিনি ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ট বিচার দাবী করেন।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের এক আত্মীয়ের বাড়ীতে সরকারী গম গোডাউনজাত করে রাখা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়ীতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে মাঝদীঘা পূর্ব পাড়া গ্রামের কুরবান আলীর বাড়ীর কয়েকটি ঘরে ১০০ বস্তা সরকারী গম পাওয়া যায়। এ সময় কুরবান আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান গমগুলো চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন রেখে গেছেন। পরে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনকে ডাকা হলে হলে তিনি গমগুলোর বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেন নাই। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং গমসহ কুরবান আলীকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাহাড়ায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।