নিউজ ডেস্ক:
আদালত কর্তৃক ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত হওয়ার পেছনে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি অংশ। আর এ কারণে দলের এই দুই নেতার উপর ক্ষুব্ধ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও।
ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করার কারণে চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হওয়া কাউন্সিলে টুকু ও আমান পন্থী নেতাদের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একটি সূত্র।
সূত্রটি বলছে, ছাত্রদলের মধ্যে দুইটি গ্রুপ সবচেয়ে শক্তিশালী। যার একটি গ্রুপের নেতৃত্বে দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু। আর অন্যটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ আমান। কিন্তু বাবু দীর্ঘদিন কারাগারে অবস্থান করা ও ব্যক্তিগত কাজে দলে নিষ্ক্রিয় থাকায় এই গ্রুপটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
এদিকে ছাত্রদলের একটি সূত্র বলছে, বিবাহিতরা নির্বাচন করতে না পারায় আমান-টুকুর সবচেয়ে অনুগত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান তালুকদার নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েন। এরপর আরেক অনুগত যশোরের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে নির্বাচনে প্রার্থী করেন তারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ পরিবার থেকে উঠে আসায় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরই শ্রাবণকে নিয়ে নানা সমালোচনা তৈরি হয়। যার কারণেই ছাত্রদলের সাবেক কমিটির সদস্য আমান উল্লাহ’র সহায়তায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আমান-টুকু। এতে গত ১২ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। ছাত্রদলের কাউন্সিলে শ্রাবণের সাথে সাথে শফিউল বারী বাবুর অনুগত হাফিজুর রহমান এগিয়ে ছিলেন। শ্রাবণের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় হাফিজ এগিয়ে যায়। তাই ছাত্রদলকে বাবু গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন আমানউল্লাহ আমানরা। বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয়েছে তারেক রহমানেরও। যার কারণে তিনি আমান-টুকুর সমর্থকদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
ছাত্রদলের সৃষ্ট সংকটের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের এই সংকট মুহূর্তে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত হওয়ায় বিএনপি আরো চাপে পড়েছে। যতটুকু শুনেছি, এর পেছনে কল-কাঠি নেড়েছেন আমান ও টুকু। যার কারণে তারেক রহমান তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। আগামী কাউন্সিলে তাদেরকে দলীয় পদ থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জনও চাউর হয়েছে।