নিউজ ডেস্ক:
ছাত্রদলের কমিটি বাতিল করা ও কমিটিতে পদপ্রাপ্তির নতুন শর্তের কারণে পুরনো কমিটির বিক্ষুব্ধ নেতাদের গালিগালাজ ও অসংলগ্ন ব্যবহারে মর্মাহত হয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা একদিনের জন্য বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় কার্যালয়ে রিজভীর সঙ্গে দেখা করতে যান। আর সেখানে রিজভী দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে নিজের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
জানা যায়, বুধবার (১২ জুন) রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এর আগে মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে কমিটি বাতিল ও শর্তারোপ ইস্যুতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতারা। পরে তারা রিজভী আহমেদকে কার্যালয় থেকে বের করে দিতে উদ্যত হয়। কিন্তু রিজভীর অসুস্থতার কথা বললে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তাকে পাহারায় থাকা নেতাকর্মীদের লাথি-ঘুষি মেরে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়। এমনকি রিজভীকে আবাসিক নেতার তকমা দিয়ে গালমন্দ করেন।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে রিজভীকে দেখতে যাওয়া একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রিজভী সাহেব অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন ছাত্রদলের নেতাদের ব্যবহারে। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তার চিকিৎসককে ঢুকতে দেয়নি পর্যন্ত। এতে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে তিনি সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছেন আবাসিক নেতা, ধান্দাবাজসহ নেতাদের নানা অসংলগ্ন কথাবার্তায়। বিক্ষুব্ধ নেতারা রিজভী সাহেবকে অপমান করে বলেছেন, আপনার মতো আবাসিক নেতাদের ষড়যন্ত্রের ফলে বিএনপি আবাসিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আমরা বিএনপিকে পুরনো রূপে দেখতে চাই। বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আপনার মতো কৌশলী ও সুবিধাবাদী নেতাদের প্রতিহত করবো।
মির্জা ফখরুল রিজভী আহমেদের বক্তব্য শুনে সান্ত্বনা দিয়েছেন বলেও জানান ওই নেতা। মির্জা ফখরুল ক্ষুব্ধ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যেহেতু রিজভী অসুস্থ, তাই তাকে এই অবস্থায় উত্তেজিত না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন ফখরুল।