ডেস্ক নিউজ
জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
জেনেভায় জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদের সদ্য সমাপ্ত ৪৭-তম অধিবেশনে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্তিত্বের হুমকিস্বরূপ এবং তা বিশ্বের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশসহ তিনটি দেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কার্যত কোনো ভূমিকা না থাকলেও এই দেশগুলোই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের মতো জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে অভিযোজন, প্রশমন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং আর্থিক ও বিনিয়োগ সহায়তা বৃদ্ধিতে উন্নত দেশসমূহকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
এর আগে বুধবার জেনেভায় জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো: মোস্তাফিজুর রহমান প্রস্তাবটি মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করেন। এই প্রস্তাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা, প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন, ঝুঁকিপ্রবণ দেশগুলোতে কার্যকর সহায়তা প্রদান, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারকরণ, সক্ষমতা ও উন্নয়নের মাত্রা ভেদে সাধারণ কিন্তু পৃথক দায়িত্ব (সিবিডিআর) নীতির যথাযথ প্রতিফলন এবং মানবাধিকার পরিষদ ও এর সকল প্রক্রিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বিষয়টিকে আরো গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানানো হয়।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার পরিষদে ধারাবাহিকভাবে এ প্রস্তাব উত্থাপন করে আসছে। এ বছরের প্রস্তাবে রাশিয়া কতিপয় সংশোধনী আনার চেষ্টা করলে সেগুলোর প্রত্যেকটি ভোটে পরাজিত হয়। তবে, রাশিয়া পুরো প্রস্তাবের বিরোধিতা না করায় এটি প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
সূত্র : বাসস