ডেস্ক নিউজ
উন্নয়ন প্রকল্পের মতো জেলা-উপজেলায় অনলাইনে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলের বিধান প্রবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত সরকারি জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কমিটির ৬৭তম সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ সময় ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, জেলা ও উপজেলায় সাধারণ আবেদনে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলের বিধান প্রবর্তন করা হলে জলমহাল ইজারার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিসহ সবাই উপকৃত হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, আজকের সভায় উপস্থাপিত ইজারা আবেদনের শতভাগই অনলাইনের মাধ্যমে দাখিল করা হয়েছে। অনলাইনে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিল করার কারণে মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা ইজারা প্রক্রিয়ার নানাবিধ জটিলতা এড়াতে পেরেছেন। এছাড়া এ সম্পর্কিত যাতায়াত কমে যাওয়ায় সমিতির সদস্য মৎস্যজীবীদের অনেক অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। ইজারার জন্য প্রস্তাবিত জলমহাল সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক এবং তাদের প্রতিনিধি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজ নিজ জেলা থেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ১৫ নভেম্বর জারি করা এক পরিপত্রের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলের সুবিধা চালু করে। এখন ভূমিসেবা কাঠামো থেকে বা সরাসরি ওয়েব পোর্টালে গিয়ে জলমহাল ইজারার জন্য আবেদন দাখিল করা যাচ্ছে।
এছাড়া, জলমহাল ইজারার আবেদন অনলাইনে দাখিল এবং ইজারা প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য এই ওয়েবপোর্টাল থেকেই জানা যাচ্ছে। সাধারণত ২০ একরের বেশি সরকারি জলমহাল ইজারার অনুমোদন মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দেওয়া হয়ে থাকে।
১৪২৯-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ মেয়াদে উন্নয়ন প্রকল্পে জলমহাল ইজারার জন্য বিভিন্ন জেলার ৪৬৮টি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড অনলাইনে আবেদন দাখিল করে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ এবং কিশোরগঞ্জ জেলার মোট ৫৫টি প্রস্তাব ও বিবিধ ৩টি প্রস্তাব সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। যাচাই-বাছাই করে জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদন ও অন্যান্য সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকারি জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কমিটি ইজারার অনুমোদন দেয়।